আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘিরেই ভোটের উত্তাপ!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

তেমন কোনো দায়িত্ব বা ক্ষমতা না থাকলেও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদটি আসন্ন বন্দর উপজেলা নির্বাচনে খানিকটা নির্বাচনী আমেজ বা উত্তাপ ধরে রেখেছে। এ পদে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় জোট সহ বিভিন্ন দলের কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া না হলেও তাঁদের নির্বাচনী তৎপরতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছুটা হলেও উত্তাপ বিরাজ করছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বলছেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের তেমন কোনো দায়িত্ব বা ক্ষমতা না থাকলেও পদটি মর্যাদার বলেই তাঁরা লড়ছেন।

জানা যায়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একমাত্র চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ। একক প্রার্থী হওয়াতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নিবাচিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার ফলে ৭ প্রার্থী মিলেই নির্বাচনি মাঠ গরম করে রেখেছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব মো. নুরুজ্জামান, হাফেজ পারভেজ, মো. সানাউল্লাহ সানু ও শহিদুল ইসলাম জুয়েল, আক্তার হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালিমা হোসেন, নুরুন্নাহার বেগম ও মাহমুদা আক্তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

‘এবারের উপজেলা নির্বাচনে অন্য দলগুলো তেমন অংশ নিচ্ছে না। ফলে ভাইস চেয়ারম্যান পদটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। আওয়ামী লীগের যেহেতু অনেক যোগ্য প্রার্থী আছে সে জন্য অনেকেই নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে নিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন বলেই সূত্রে জানা যায়।’

অনেক আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে যুক্ত থেকে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ার আকাঙ্খা সব রাজনৈতিক নেতারই থাকে। ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা বা কাজ যাই হোক জনপ্রতিনিধি হওয়ার আকাঙ্খা থেকেই প্রার্থী হয়েছেন অনেকে। জাতীয় নির্বাচনে তো সিনিয়র নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানে জুনিয়রদের সুযোগ কম। কিন্তু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ তাদের জন্য সহজতর।’

ভোটারদের কাছে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এবং মাহে রমজানকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই ইফতার মাহফিলের অংশগ্রহন করছেন। আবার অনেকে বিভিন্ন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নিচ্ছেন। যদিও এখনো প্রতীক বরাদ্দ হয়নি তাই মিছিল মিটিয়েং অশংগ্রহন না করতে পারলেও নির্বাচনী সালাম ঘরে ঘরে পৌছে দিতেই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ৩১ মে। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৮ জুন ।